Market Status: Closed
  Saturday, 27 Apr '24
   11:34:04 (BST)

  • Press Release
  • Events
  • Publications
  • চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই)-তে ফিনান্সিয়াল রিপোর্টং, ডিজক্লোজার এন্ড অডিটিং স্ট্যান্ডার্ড বিষয়ক কর্মশালার আয়োজন

    ১০ মার্চ ,২০২৪, চট্টগ্রামঃ

    বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-র নির্দেশনায় ও সহযোগিতায় চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি (সিএসই) দুইদিন ব্যাপী Financial Reporting, Disclosures and Auditing Standards-এর উপর Hands-on কর্মশালার আয়োজন করেছে । গত ০৯ মার্চ, ২০২৪ থেকে শুরু অনুষ্ঠিতব্য কর্মশালাটি  আজ ১০ মার্চ, ২০২৪ শেষ হয়েছে । এই ট্রেনিংসমূহে বিএসইসি, সিএসই এবং ডিএসই-এর ৩০ জন কর্মকর্তা্ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।

     

    সিএসই নিয়মিত সংশ্লিষ্ট স্টেকদের জন্য বিভিন্ন ধরনের রিপোর্ট প্রস্তুতির প্রশিক্ষণ, কর্মশালা, সেমিনার আয়োজন করে আসছে । এরই ধারাবাহিকতায় সিএসইর চট্টগ্রামস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ (বিএসইসি)-এর সম্মানিত কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল হালিম, চিফ আকাউটেন্ট জনাব মোঃ কামরুল আনাম খান এফসিএমএ, পরিচালক, জনাব মোঃ আবুল কালাম, হোদাভাসি চৌধুরী এন্ড কোং, চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট ফার্ম এর পার্টনার শেখ মোঃ তারিকুল ইসলাম এবং শেখ হাসিবুর রহমান,এফসিএ। সিএসইর পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার,এফসিএ, এফসিএমএ, চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও) মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, সিএফএ, এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

     

    স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম সাইফুর রহমান মজুমদার,এফসিএ, এফসিএমএ বলেন, ফাইনান্সিয়াল রিপোর্টং প্রস্তুত এবং এর সঠিক বিশ্লেষণ করা হচ্ছে একটি গতিশীল প্রক্রিয়া । রিপোর্ট তৈরির স্ট্যান্ডার্ডগুলোর পরিবর্তন কিংবা সংযোজন হয়। স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর জন্য ফিনান্সিয়াল রিপোর্ট নিয়ে কাজ করা হলো একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। কেননা নতুন নতুন অনেক কোম্পানি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হচ্ছে এবং দিন দিন আগ্রহ আরও বাড়ছে । এই সব কোম্পানিগুলোকে তাদের ধরন অনুযায়ী ত্রৈমাসিক, অর্ধবার্ষিক, বার্ষিক এই তিন পর্বে রিপোর্ট প্রদান করতে হয় এবং স্টক এক্সচেঞ্জসমূহ ও একই সাথে বিএসইসিকে সব মিলিয়ে সারা বছরে প্রায় ১০০০টি রিপোর্ট গ্রহণ করতে হয়। শুধূ তাই নয়, এরপর সে রিপোর্টগুলোর যথাযথ বিশ্লেষণ করে ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো দেখে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়। কারন একটি ফিনান্সিয়াল স্টেটমেন্টের সাথে বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ চিন্তা সরাসরি সম্পর্কযুক্ত । স্টকএক্সচেঞ্জসমুহ বা রেগুলেটরের একটি ভুল পর্যালোচনা বিনিয়োগকারীর  বিনিয়োগ সিদ্ধান্তকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে, তাই আমাদেরকে এই ফিনান্সিয়াল রিপোর্টং এর বিশ্লেষণ, এর উপস্থাপন এবং পরবর্তী তথ্য প্রদানের বা ব্যবস্থা গ্রহণ পর্যন্ত সমগ্র প্রক্রিয়াটি এমনভাবে করতে হবে যেন বিনিয়োগকারীদের আস্থা আরও দৃঢ় হয় এবং বিনিয়োগ চিন্তা সঠিক হয়। এই ধরনের প্রশিক্ষন একটি গতিশীল ও জবাবদিহিমূলক পুঁজিবাজার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

     

    সম্মানিত কমিশনার জনাব মোঃ আব্দুল হালিম বলেন,  আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায় পুঁজিবাজারের আকার বেশ ছোট। কিন্তু কাজের পরিধি কম নয় ।পুঁজিবাজারে আছে প্রায় ৩৫০টির উপরে প্রতিষ্ঠান যারা অনেক ধরনের রিপোর্ট প্রদান করে।এক্ষেত্রে রিপোর্ট বিষয়ক প্রথম কাজটি হচ্ছে সব কোম্পানিগুলোর রিপোর্টসমূহ ঠিকমত প্রেরন করে কিনা সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে ।এরপর দেখতে হবে প্রদত্ত রিপোর্টগুলো ঠিকমতো তৈরি করেছে কিনা এবং এর ব্যবহার ও বিশ্লেষণের ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে । পুঁজিবাজারের এই রিপোর্টগুলোর উদ্দেশ্য হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠানগুলিকে আইন অনুযায়ী স্বচ্ছ ও দক্ষ হিসেবে তৈরি করা । রেগুলেটর মানে কেবল নিয়ন্ত্রন করবে তেমনটা নয় আমাদের এটাও খেয়াল করতে হবে যে আমরা এমনভাবে গাইড করবো যেন তারা তাদের সমস্যার সমাধান করে একটি গ্রহণযোগ্য প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিনিয়োগকারীদের কাছে স্থান পায় এবং তাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে আরও নতুন নতুন কোম্পানিগুলো আমাদের পুঁজিবাজারে আসে । আরও মনে রাখতে হবে এটি এমন নয় যে একবার করেই শেষ হবে, পর্যবেক্ষণ ও উন্নতিকরনের ধারাবাহিকতা যেন বজায় থাকে এবং সামনের পথচলা যেন যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য ও মসৃণ হয়।

     

    চিফ রেগুলেটরি অফিসার (সিআরও)জনাব মোহাম্মদ মাহাদি হাসান, সিএফএ, বলেন, পুঁজিবাজারের ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং এর গুরুত্ব অপরিসীম। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ফিনান্সিয়াল মার্কেটে অনেক সীমাবদ্ধতা আছে তাও আমারা যতখানি এগিয়েছি তা বেশ উল্লেখযোগ্য। পুঁজিবাজারের ক্ষেত্রে সিএসই, ডিএসই এবং বিএসইসির মধ্যকার সমন্বয়ে এই কর্মশালাটি আয়োজন করার ফলে কাজের সম্মিলিত আরও কার্যকরী ফলাফল আমারা সামনে দেখতে পাবো । রিপোর্টিং -এর ক্ষেত্রে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ২০০৮ সালের পর থেকে ফিনান্সিয়াল টেরোরিজম শব্দটি প্রচলিত যার উদ্ভভ হয়েছিলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিছু বিশেষ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ।এর প্রভাব সুদুর প্রসারী।তাই ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং তৈরি করা এবং এর ব্যবহার, পুরো প্রক্রিয়াটির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের জ্ঞান আরও বাড়াতে হবে মূলকথা সব সময় নিজকে ট্রেনিং, ওয়ার্কশপ বা জিজ্ঞাসার মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যাপারগুলো জেনে নিতে হবে এবং সঠিক ব্যবহার করতে হবে।

     

    প্রশিক্ষণ বা ওয়ার্কশপ সবসময়ই নতুন নতুন পরিবর্তন, পরিবর্ধন কিংবা সংযোজন সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা বা ব্যবহারিক প্রয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা তাদের কাজের পরিধিতে যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। একই সাথে তাদের চিন্তা ও বিশ্লেষণ বা আগামী সংযোজনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মতামতগুলো ও প্রদান করতে পারেন । এছাড়াও হাতে কলমে শিক্ষার মাধ্যমে সঠিকভাবে সঠিক রিপোর্ট তৈরির ধাপগুলোও জেনে নিতে পারেন। তাই কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীরা এ ধরনের আরও প্রশিক্ষণের আয়োজনের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

    বিস্তারিত জানতে

    তানিয়া

    সিএসই-সি এন্ড পি আর,

    এক্সচেঞ্জ ব্র্যান্ডিং ডিপার্টমেন্ট

    ফোনঃ ০১৭৬০৭৪৫৭৩৬

    | March 10, 2024 |